Sunday, May 2, 2010

ক্ষণগল্প (১-৪)

দিয়াশলাই পড়ার পর অণুগল্পের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় কয়েকগুণ । এই পোস্টের ৪ টি অণুগল্পের সবগুলোই ৪২০ অক্ষরের মধ্যে । শব্দ নয়, অক্ষর! গল্পগুলো লেখা শুরু করেছিলাম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবে দিতে গিয়ে। ( স্ট্যাটাসে অক্ষরসীমা ৪২০ !) খুব কম সময়ে পড়া যায় বলে ডাকছি ক্ষণগল্প নামে । 
ক্ষুধা
সারাদিনই ছোটাছুটির মধ্যে থাকি ।কম জায়গায় যেতে হয় আমাকে?!
কম কাজ করতে হয়?আমার পেটে খাবার থাকলে আমি ঠিকই বিরতিহীন কাজ করে যেতে পারি । কিন্তু ইদানিং!ঠিক মত পেট পুরে খেতেও পারি না!খাওয়া শেষ করার আগেই ঝামেলা শুরু হয় !দিনে কয়েকবার চেষ্টার পরও আমি অভুক্ত থাকি!ভাববেন না আমি খুব বেশি খাই!
আমি তো সামান্য একটা মোবাইল ফোন । কতটুকুই বা খাব?!ঘন ঘন লোডশেডিং এ...

মৌলি
মাত্রই সিগ্রেট ধরালাম। বিকেলের এই সময়ে দেলোয়ার মামার চায়ের দোকানে সিগ্রেট ধরিয়ে সুখটান দেয়াটা নিত্যদিনের অভ্যাস । ধোঁয়াছাড়ি আর মৌলির কথা ভাবি। কখন এ রাস্তা দিয়ে যাবে! ওকে এক নজর দেখব । ঐ তো দেখা যাচ্ছে ! আজ ও চুল ছেড়ে এসেছে ।আল্লাহ এখন জানি একটু বাতাস আসে!
চিন্তায় বাগড়া দিয়ে কে জানি বলে উঠল "ভাই আপনার কাছে ম্যাচ হবে?"
তাকিয়ে দেখি মৌলির বাবা!
মানুষ
পার্কে বসে আছি। চারপাশে মানুষ কম,রোবট বেশি । ৩য় প্রজন্মের রোবটগুলোকে দেখলেই মেজাজ গরম হয় । এদের রোবোব্রেইন মানুষের মতই নাকি! আচার আচরণে বুদ্ধিমত্তার ছাপ ! ২য় প্রজন্মের রোবটগুলো ভালো । সাধারণ রোবোট ।হঠাৎ একটা ২য় প্রজন্মের রোবটের পায়ের স্ক্রু ঢিলা হয়ে পা-টা খুলে গেল । আমরা মানুষরা রোবটের ল্যাংচানো দেখে হাসতে লাগলাম । ৩য় প্রজন্মের রোবটগুলো অবাক হল,বোধহয় ভাবছে মানুষরা হাসছে কেন?! 
"শালা রোবট!মানুষ হইলি না!"
ঝগড়া
এই মফস্বলটিতে বউ পেটানো খুবই সাধারণ ঘটনা। নসিমনের বিশাল শরীর যখন কান্নার কারণে কাঁপছিল প্রতিবেশী সালেহা তখন না জিজ্ঞেস করে পারে নি,"কাইজ্যা লাগছেনি গো?"
নসিমন মাথা নাড়ে, কিন্তু কান্না থামায় না ।
"ক্যান যে আমি রাইগা গেলাম ! এমুন তো আর হয় নাই "
"আরে তোমারে মারছে আর তুমি..."
নসিমন,বলেই চলে"ক্যান আমি আরো সাবধান হইলাম না । আহারে! উনার হাত খান মনে অয় ভাইঙ্গা গেছে গা! আমি যদি আরেকটু আস্তে ..."
স্মরণ : মুহম্মদ জুবায়ের । যাঁর রিভিউ পড়ার জন্য পুরো ইবুকটিই পড়েছিলাম!

4 comments:

Anonymous said...

ভালো। খুব ভালো। ধন্যবাদ।

বোহেমিয়ান said...

পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন

মারুফ said...

আপনার মত আমিও কাল্পনিক চরিএ নিয়ে চিন্তা করতে ভালবাসি কিন্তু লেখার
সাহস পাইনি আপনার লেখা পরে উৎসাহ পেলাম ।এখন থেকে আশা করি
সাহস করে আমার কল্পনার চরিএগুলো নিয়ে লিখতে পারব ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

বোহেমিয়ান said...

উৎসাহের কারণ হতে পেরেছি জেনে ভালো লাগল । লিখতে থাকুন